- ভূমিকা->সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান হল তত্ত্বগত ভাবে রাষ্ট্রপতি, কিন্তু বাস্তবে সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ক্যাবিনেট। আমাদের রাষ্ট্রপতি পদটি অনুসৃত হয়েছে ইংল্যান্ডের রাজা,রানী এর ধারণা থেকে। সংবিধানের ৫৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, শাসনতান্ত্রিক সমস্ত ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির উপর ন্যাস্ত থাকবে ।
- ক্ষমতার বিভাজন->ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।-১)সাধারণ ক্ষমতা । ২)জরুরি ক্ষমতা । 3)সাধারণ ক্ষমতা । সাধারণ ক্ষমতাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায় ১)শাসন। 2)আইন। ও 3)বিচার। এই ক্ষমতা ছাড়া আরও যে ক্ষমতা রয়েছে সেগুলো হল-> নিয়ম তান্ত্রিক ক্ষমতা, কূটনয়তিক ক্ষমতা, সামরিক ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক ক্ষমতা।
- অর্থনৈতিক ক্ষমতা->আর্থিক বছরের জন্য ব্যয় বরাদ্দ অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির নামে পার্লামেন্টে পেশ করেন। ভারতের সঞ্চিত তহবিল থেকে কোন খরচ করতে হলে রাস্ট্রপতির অনুমোদন দরকার।
- বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা->অন্যান্য রাষ্ট্রের মত ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান রূপে রাষ্ট্রপতিকে অপরাধী ব্যাক্তিদের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
(i) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাসন রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পিত
(ii) কোন গুরুত্বপূর্ণ আইনগত সমস্যা দেখা দিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে অভিমত চাইতে পারেন।
(ii) কোন গুরুত্বপূর্ণ আইনগত সমস্যা দেখা দিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে অভিমত চাইতে পারেন।
(iii) সংবিধানের 213(1) নং ধারা অনুসারে যে সমস্ত রাজ্য রাজ্যবিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন সে সম্পর্কে তিনি রাজ্যপালদের নির্দেশ দিতে পারেন।
(iv) গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তিনি যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ করেন।
6. জরুরি ক্ষমতা->সংবিধানের (18) নং ধারায় জরুরি অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি কে (352-360 ধারার মধ্যে) তিন ধরনের জরুরি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেমন->(i)আপৎকালীন ক্ষমতা (ii) রাজ্যের শাসনতান্ত্রিক অচল অবস্থা (iii)আর্থিক জরুরি অবস্থা।
352 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে, ভারতের কোন অংশে নিরাপত্তা ক্ষীন্ন হচ্ছে তাহলে তিনি সমগ্র ভারতে বা ভারতের কোন অংশের জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন ।356 নং ধারা অনুসারে রাজ্যপাল যদি রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দেন যে, রাজ্য সাংবিধানিক অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি সেই রাজ্য সরকার ভেঙে দিতে পারেন। 360 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন কোন কারণে। ভারতের কোন অংশে আর্থিক সুনাম বিপন্ন হচ্ছে। তাহলে তিনি আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
7.পদমর্যাদা->ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতির প্রকৃত ভূমিকা ও পদমর্যাদা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। নেহেরু ও রাজেন্দ্র প্রসাদের আমল থেকে রাষ্ট্রপতি প্রকৃত ভূমিকা সম্পর্কে বিতর্ক আছে। অধ্যাপক পাইলি বলেছেন যে, "পৃথিবীর অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধান কে এত ক্ষমতা দেওয়া হয়নি যা দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান কে"। আমাদের সংবিধান রচয়িতা দের লক্ষ্য ছিল যে ভারতের রাষ্ট্রপতি ইংল্যান্ডের রাজা বা রানীর মত শাসন তান্ত্রিক প্রধান থাকবেন। প্রকৃত শাসনের অধিকারী হবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার ক্যাবিনেট।
6. জরুরি ক্ষমতা->সংবিধানের (18) নং ধারায় জরুরি অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি কে (352-360 ধারার মধ্যে) তিন ধরনের জরুরি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেমন->(i)আপৎকালীন ক্ষমতা (ii) রাজ্যের শাসনতান্ত্রিক অচল অবস্থা (iii)আর্থিক জরুরি অবস্থা।
352 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে, ভারতের কোন অংশে নিরাপত্তা ক্ষীন্ন হচ্ছে তাহলে তিনি সমগ্র ভারতে বা ভারতের কোন অংশের জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন ।356 নং ধারা অনুসারে রাজ্যপাল যদি রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দেন যে, রাজ্য সাংবিধানিক অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি সেই রাজ্য সরকার ভেঙে দিতে পারেন। 360 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন কোন কারণে। ভারতের কোন অংশে আর্থিক সুনাম বিপন্ন হচ্ছে। তাহলে তিনি আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
7.পদমর্যাদা->ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতির প্রকৃত ভূমিকা ও পদমর্যাদা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। নেহেরু ও রাজেন্দ্র প্রসাদের আমল থেকে রাষ্ট্রপতি প্রকৃত ভূমিকা সম্পর্কে বিতর্ক আছে। অধ্যাপক পাইলি বলেছেন যে, "পৃথিবীর অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধান কে এত ক্ষমতা দেওয়া হয়নি যা দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান কে"। আমাদের সংবিধান রচয়িতা দের লক্ষ্য ছিল যে ভারতের রাষ্ট্রপতি ইংল্যান্ডের রাজা বা রানীর মত শাসন তান্ত্রিক প্রধান থাকবেন। প্রকৃত শাসনের অধিকারী হবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার ক্যাবিনেট।