বিবর্তন:- যে অমাধ্যম অনুমানে যুক্তি বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তে বিধেয় হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং যুক্তি বাক্যে গুণের পরিবর্তন করা হয় কিন্তু পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে অনধিক ব্যাপক একটি সিদ্ধান্ত অনিবার্য ভাবে নিঃসৃত করা হয় সেই অ-মাধ্যম অনুমানকে বিবর্তন বলে।
অমাধ্যম অনুমান:- যে অবরোহ অনুমানে একটি মাত্র যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় তাকে, অমাধ্যম অনুমান বলে। বিবর্তনে যুক্তি বাক্য বা আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য ও পরিমান অপরিবর্তিত রেখে যুক্তি বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তে বিধেয় করে এবং গুণের পরিবর্তন করে সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত করা হয়। সুতরাং বিবর্তন একটি অমাধ্যম অনুমান।
উদহারণ:-
বিবর্তনীয়:-(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।
বিবর্তিত:-(E) কোনো মানুষ নয় অ-মরণশীল।
এরথেকে অনুমান করতে পারি বিবর্তনের ক্ষেত্রে যে বচন টিকে বিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ আশ্রয় বাক্য বা যুক্তিবাক্য টির নাম দেওয়া হয় বিবর্তনীয় আর বিবর্তন করে যে বচন টি পাওয়া যায় অর্থাৎ সিদ্ধান্তটির নাম দেওয়া হয় বিবর্তিত।
বিবর্তনের সংজ্ঞা থেকে যে নিয়ম গুলি পাওয়া যায় তা আলোচনা করার আগে 'বিরুদ্ধ পদ' কাকে বলে তা জানার দরকার। কোন পদের সকল বিপরীত পদের সমষ্টি কে বলে 'বিরুদ্ধ পদ' বলে।
যেমন:-'মানুষ' পদের বিরুদ্ধ পদ হলো ' অ-মানুষ'।
বিবর্তনের নিয়ম:-
(১) আশ্রয় বাকের উদ্দেশ্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে।
(২) আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ হবে সিদ্ধান্তের বিধেয়।
(৩)আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে গুণের পার্থক্য হবে, অর্থাৎ আশ্রয় বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে আশ্রয় বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।
(৪)আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে পরিমাণ এর কোনো পরিবর্তন হবে না অর্থাৎ আশ্রয় বাক্য সামান্য হলে সিদ্ধান্ত সামান্য হবে আর আশ্রয় বাক্য বিশেষ সিদ্ধান্ত বিশেষ হবে।