‘মেঘের গায়ে জেলখানা’ প্রবন্ধ অনুসারে বক্সার জেলখানার বর্ণনা দাও
উত্তর:
🏛️ বক্সার জেলখানার বর্ণনা
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মেঘের গায়ে জেলখানা’ প্রবন্ধে বক্সার জেলের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
- জেলখানার চারপাশে ছিল কাঁটাতারের বেড়া, বাইরে সশস্ত্র সেপাইদের পাহারা।
- ভিতরে ছিল ঘাস ও কাঁকর মেশানো মাঠ, মাঝে সাদা পাথরের স্তম্ভ।
- একটি কাঠের পুল ছিল যা জয়ন্তী পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
- তিনতলা সমান উঁচু পাহাড়ের হাঁটুর উপর এই জেলখানা অবস্থিত।
মাঠের পাশ দিয়ে ছিল পাথরের সিঁড়ি যা বড়ো লোহার ফটকে গিয়ে মিলেছে। তার ভিতরে ছোটো লোহার গেট দিয়ে ঢুকতে হতো। ঢুকলেই দেখা যেত:
- জেল অফিস
- সেপাইদের ব্যারাক
- নিচুতলার কর্মীদের কোয়ার্টার
🧱 অন্দরমহলের বৈশিষ্ট্য
- তিনটি খাঁজে সারি সারি ঘর
- পাথরের দেয়াল ও কাঠের ছাদ
- ছাদের কাছে ছোট জানালায় গরাদ
- ডবল দরজা – মোটা কাঠ ও পেটা লোহা দিয়ে তৈরি
- দেয়ালের বাইরের উঠোন কাটাতারে ঘেরা
- সেন্ট্রিবক্সে ২৪ ঘণ্টা সেপাই পাহারায় থাকত
এই বক্সার জেলখানার কাঠামো লেখকের কাছে হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের মতো মনে হয়েছে।