Subscribe Us

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী সংক্ষেপে | All Care Number

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী সংক্ষেপে

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর বাংলার একজন বিশিষ্ট সমাজসংস্কারক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী চিন্তাবিদ। তিনি বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। তার প্রকৃত নাম ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে। তিনি ছিলেন দরিদ্র ঘরের সন্তান, কিন্তু জ্ঞানের প্রতি প্রবল আগ্রহ তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সফলতার শিখরে।

📚 শিক্ষা জীবন

বিদ্যাসাগর ছোট থেকেই ছিলেন মেধাবী ও অধ্যবসায়ী। কলকাতার সংস্কৃত কলেজে তিনি সংস্কৃত, ব্যাকরণ, যুক্তি, সাহিত্যসহ বিভিন্ন শাস্ত্রে দক্ষতা অর্জন করেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি "বিদ্যাসাগর" উপাধিতে ভূষিত হন, যার অর্থ হল "বিদ্যার সমুদ্র"। তিনি ইংরেজি, বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় সমান পারদর্শী ছিলেন।

🛕 সমাজ সংস্কার

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনের অন্যতম অবদান ছিল সমাজ সংস্কার। তিনি বিধবা বিবাহ প্রথার পক্ষে আন্দোলন করেন এবং ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন পাশ করান। তিনি কন্যাশিক্ষার প্রবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং নারীদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজের কুসংস্কার, ছুঁতমার্গ ও অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয়।

🖋️ সাহিত্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান

তিনি বাংলা গদ্যের শুদ্ধ রূপ প্রতিষ্ঠা করেন। শিশু শিক্ষার জন্য রচিত "বর্ণপরিচয়" বইটি আজও অমর। এছাড়াও ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’, ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ ইত্যাদি অনুবাদ করে সাধারণ মানুষের কাছে সংস্কৃত সাহিত্যকে সহজ করে তোলেন।

📌 মৃত্যু

এই মহান ব্যক্তিত্ব ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু তার শিক্ষা, আদর্শ ও মানবতাবাদ আজও বাঙালির সমাজ ও চিন্তায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।

🔗 সম্পর্কিত পোস্ট: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ইতিহাস